লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বাঁশ কাটতে বাধা দেয়ায় সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় লিমন হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তবে প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেরালেও ধরা ছোয়ার বাইরে মামলার প্রধান অভিযুক্ত সাহাজ উদ্দিন।
গত ৪ জানুয়ারি আটককৃত লিমনকে লালমনিরহাট জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি উপজেলার বাড়াই পাড়া এলাকার তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত লিমন উপজেলার একই এলাকার বাসিন্দা ও মামলার প্রধান আসামী সাহাজ উদ্দিনের ছেলে।
এদিকে এর আগে ২৯ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার বাড়াই পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পরে এ ঘটনার দিন রাতেই ভুক্তভোগী শ্রী ধরনী কান্ত বর্মন বাদী হয়ে সাহাজ উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে আরও ৪জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ওই পরিবারের প্রায় ৭ জন আহত হয়ে ৫ জন হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎধীন থেকে বাড়ি ফিরে যান ও ২ জন গুরুত্বর অবস্থায় বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জানা গেছে, অভিযুক্তদের বাড়ির পাশেই ধরনী কান্ত ও তার বাবার নিজ নামীয় জমি রয়েছে। সেই জমিতে বেশ কিছু গাছ পালা ও বাঁশ ঝার রয়েছে। সেখান থেকে অভিযুক্তরা প্রায় না জানিয়ে বাঁশ কেটে নিয়ে যায়। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দেয়াও হয়। পরে পুলিশ বাশ গুলো উদ্ধারও করে। তবে এ নিয়ে মিমাংসা হওয়ার কথা থাকলে পরে অভিযুক্তদের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
এমতাবস্থায় গত ২৯ ডিসেম্বর অভিযুক্তরা আবারো না জানিয়ে বাঁশ কাটতে থাকে। এ সময় ধরনী কান্তের ছেলে সাগর বাশ কাটতে বাধা দিতে গেলে তার উপর হামলা চালায় অভিযুক্তরা। তার চিতকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে বাচাতে ছুটে আসে৷ এ সময় তাদের উপরও হামলা চালিয়ে বেধরক মারধর করে আহত করে অভিযুক্তরা। এ সময় স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে জানতে মামলার প্রধান আসামী সাহাজ উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা তাদের জমির কোন বাশ কাটিনি। এছাড়া তাদের কারো গায়ে আমরা হাত তুলিনি। তারা যে অভিযোগটি তুলেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ধরনী কান্ত বর্মন বলেন, তারা প্রায় আমাদের জমির বাশ চুরি করে কেটে নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে উল্টো তারাই বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয়৷ এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে মামলার প্রধান আসামী সাহাজ উদ্দিন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাকে পুলিশ ধরছে না বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সফিকুল ইসলাস বলেন, এ ঘটনায় লিমনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
You must log in to post a comment.