সরকারের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কারেন্ট জাল ও চায়না দেয়ার জালে (টেপাই জাল) সয়লাব উপজেলার বিভিন্ন নদী-নালা খাল-বিলগুলো। সরকারের নির্দেশনা না মেনে অবৈধ এসব জাল দিয়ে অবাধে শিকার করা হচ্ছে দেশীয় সকল ধরনের ছোট বড় মাছ,এমনকি দেয়ার জালে (টেপাই জাল) ধরা পড়ছে শত শত মণ পোনা মাছ। এভাবে পোনা মাছ ধরলে অচিরেই জলাশয় গুলো থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে দেশীয় মাছ। অন্যদিকে এ জাল বসানোর স্থানে খাল ও নালায় বানা লাগিয়ে মাছের চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে প্রবাহমান খাল ও নালা ছোট ছোট আবদ্ধ ডোবায় পরিনত হয়েছে। স্বাভাবিক গতিরোধ করায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাষিত হতে না পারায় আশেপাশের ফসলের ক্ষেত দিনের পর দিন জলমগ্ন থাকায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি জলাবদ্ধ খালে ময়লা আবর্জনা ফেলে বিষাক্ত করছে পানি। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দেশীও মাছের আস্তানা। সরকার নিষিদ্ধ এসব কারেন্ট ও চায়না জাল ব্যবহার বন্ধে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের নেই কোনো উদ্যোগ নেই কোনো ধরনের অভিযান। চলতি বছর মৎস্য সপ্তাহে কারেন্ট জালের ওপর দুই একদিন প্রচার ও অভিযান পরিচালনা করা হলেও । জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মৎস্য অবমুক্ত ছাড়া কোনো কর্মসূচি পালন করেনি মৎস্য অফিস। জানা গেছে, উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে কারেন্ট জাল বন্ধে চলতি মৌসুমে শুধুমাত্র একদিন সচেতনতামূলক প্রচারণা করা হলেও অভিযান না থাকায় স্থানীয় জেলেরা মাছ শিকারে সুযোগ পেয়েছে। এসবের পেছনে রয়েছে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের পুরো অবহেলা ও জনসচেতনতার অভাব। সরেজমিনে দেখা গেছে,চিলাখাল,সতিনদী,-পাঠানের কুরা,সানিয়াজান,পিওর পাড়,হাজুর দোলা,বাড়াই পাড়া, নওদাবাস,দইখাওয়া,কেতকী বাড়ী, জাওরানী. বড়খাতা এলাকার প্রতিটি খাল- বিল এখন কারেন্ট জাল, চায়না জাল ও ভেসালে ভরপুর। এলাকা ঘুরে মৎস্য শিকারী দের কাছে জানা যায় হাতীবান্ধা, দইখাওয়া,বড়খাতা,গেন্দুকুড়ি,পারুলিয়া হাট ও বাজারে এসব অবৈধ জাল অবাধে কেনাবেচা চলে। স্থানীয়দের অভিযোগ মৎস্য কর্মকর্তা এসব বিষয়ে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি বা কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি। এ বিষয়ে মোবাইলে ফোনে হাতীবান্ধা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা -উম্মে হাবিবা মুমু জানান, কারেন্ট জাল, চায়না জাল ও ভেসাল জাল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এখনো জোরালো অভিযান করা হয়নি। তবে, দ্রুতই অভিযান শুরু হবে।
মোঃ নজরুল ইসলাম / নিউজ বিজয়