কোমল পানীয় (ইংরেজি: Soft drink) হচ্ছে এক প্রকার মাদকবিহীন তরল পানীয়বিশেষ। এতে সচরাচর দ্রবীভূত অবস্থায় কার্বনসমৃদ্ধ পানি, মিষ্টিজাতীয় পদার্থসহ সুগন্ধযুক্ত পদার্থের উপাদান সন্নিবেশিত থাকে। এছাড়াও, ক্যাফেইন, ফলের রস কিংবা উভয়ই কোমল পানীয়ে দ্রবীভূত অবস্থা থাকে।
সফট ড্রিংকস বাকোমলপানীয়ের প্রতি বাচ্চাদের আগ্রহ বেশি থাকলেও কিশোর ও তরুনরাও পিছিয়ে নেই! মুখের স্বাদ আর অভ্যাসবশত এসব পানীয় তাদের স্থুলতার অন্যতম প্রধান কারণ। কিন্তু এসব খাবার আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
গবেষকদের মতে, প্রতিনিয়ত সফট ড্রিংকস পানের ফলে প্রচুর পরিমাণ চিনি আমাদের দেহে প্রবেশ করে যার ফলে ডায়াবেটিসের মতো রোগের আধিক্য শতকরা বাইশ শতাংশ বেশি দেখা যাচ্ছে। এছাড়া শিশুদের দেহে এই ধরণের পানীয়ের মাধ্যমে বছরে পাঁচ কেজি ও কিশোরদের শরীরে ত্রিশ কেজির মতো চিনি প্রবেশ করছে যার ফলাফল অধিক ওজন থেকে শুরু করে নানা রোগব্যাধি।
বাজারে যে সকল পানীয় ও ফলের জুস পাওয়া যায় তার প্রত্যেকটিতেই এই ঝুঁকি রয়েছে। আর এতে মেশানো কৃত্রিম রং ও ফ্লেভার রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব পানীয় ও জুসে পিপাসা মিটে না বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তাই বাজারে প্রচলিত পানীয় বর্জন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আর শিশু-কিশোরদের এ ধরণের খাবার গ্রহণে সচেতন করতে হলে অভিভাবকদের সচেতন থাকাটা বেশি জরুরি।
বোস্টনের শিশু হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ এবং হার্ভার্ড স্কুল একসাথে গবেষণা করে যা বের করেছে তাহলো, একটি শিশু যদি প্রতিদিন একটা করে বাড়তি সফট ড্রিংকস খায় তাহলে তার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় ৬০%। এক বোতল বা এক ক্যান সফট ড্রিংকসে ক্যালরির পরিমাণ হলো ১৬০ যা ১০ চামচ চিনির সমান। এ পরিমাণ ক্যালরি ঝরাতে সপ্তাহে আপনাকে ভারী ব্যায়াম করতে হবে সাড়ে ৪ ঘণ্টারও বেশি।
এছাড়াও, রাস্তার ধারের দোকান গুলিতে থরে থরে সাজানো থাকেলোভনীয় খাবার। অনেকেই আছেন যারা হট ডগ, সফট ড্রিংকস , চিজি বার্গার প্রভৃতি খেতে ভালোবাসেন। যদিও এই ধরনের খাবার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন রাখা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়, তা কমবেশি সবাই জানেন। কিন্তু এবার একটি গবেষণাপত্র চাঞ্চল্যকর দাবি করল। গবেষকদের দাবি অনুযায়ী, এই ধরনের খাবার মানুষের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। শুধুমাত্র সফট ড্রিংকস মানুষের আয়ু কমিয়ে দেয় প্রায় ১২.৪ মিনিট।
বাজারে পাওয়া যায় এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা খেলে আপনার আয়ু কমে যেতে পারে। আবার কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। মিশিগান ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন কিছু খাবার রয়েছে যা স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলে। নেচার ফুড জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, আমি যদি প্রতিনিয়ত এই ধরনের খাবার খেতে থাকেন তাহলে আপনার আয়ু কয়েক মিনিট, ঘন্টা তারপর কয়েক বছর পর্যন্ত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
মানুষের আয়ু কমিয়ে দেয় যে খাবারগুলি
চিজি বার্গার- ৮.৮ মিনিট, সফট ড্রিংকস- ১২.৪ মিনিট, হট ডগ- ৩৬ মিনিট, প্রক্রিয়াজাত মাংস – ২৬ মিনিট, পিৎজা-৭.৮ মিনিট
তবে কিছু খাবারআয়ু বাড়াতে সাহায্য করে
টমেটো-৩.৮ মিনিট, অ্যাভোকাডো-১.৫ মিনিট, স্যামন মাছ-১৩ মিনিট, পিনাট বাটার-৩৩.১ মিনিট