1. newsbijoy.bd@gmail.com : Faruk Hossaun : Faruk Hossaun
  2. info@newsbijoy.com : newsbijoy.com :
  3. bashore88@gmail.com : newsbijoy22 :
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:-
Logo এখন থেকে নিউজ বিজয়ের সকল সংবাদ পেতে newsbijoy24.com ভিজিট করুন। Logo  এখন থেকে নিউজ বিজয়ের সকল সংবাদ পেতে newsbijoy24.com ভিজিট করুন। Logo

রৌমারীতে নাম খারিজ ও খাজনা দিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

মাজহারুল ইসলাম রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময়: শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
NewsBijoy

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার শাহাদত হোসেন ও সার্ভেয়ার আব্দুল আউয়ালের বিরুদ্ধে জমির নাম খারিজ, খাজনা আদায়, জমি দখলদারদের বন্দবস্ত না দিয়ে অন্যেকে বন্দবস্ত ও অবৈধ ভাবে জমি দখল দিয়ে দোকান পাট নির্মানে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় অনেকেই বলেন, শাহাদত হোসেন ও সার্ভেয়ার আব্দুল আউয়াল ভূমি অফিসে যোগদানের পর থেকে নাম খারিজ ও খাজনা আদায়ে, ইজলামারী ব্রীজ সংলগ্ন নদীর উপর অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মানে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, ঘুষ ও বিভিন্ন ভাবে মানুষকে হয়রানিসহ অনিয়ম করে আসছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না। এ রকম তথ্যদেন ভূমি অফিসে কাজ করতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন। গত ২০২০ সালে যাদুরচর ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে রৌমারী সদর ইউনিয়নে যোগদান করেন শাহাদত হোসেন। যোগদানের পর থেকে। নাম খারিজ, জমির খাজনা আদায়, একজনের দখলে থাকা জমি বন্দবস্ত নিতে আসা অন্যকে বন্দবস্তদিতে কাগজ পত্র নেয়া। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কাজে ব্যবহার করেন মাষ্টার রোলে কাজে থাকা রবিউল ইসলাম, গয়টা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তর কাম নাইটগার্ড মাইদুল ইসলাম, যাদুরচরের নজরুল ইসলামসহ নাম না জানা অনেককে। মানুষের কাগজ পত্র নিয়ে এবং খরচের বিষয়ে নিশ্চিত করে তহশিলদারের হাতে দেন। কাগজপত্র ঠিক থাকুক আর নাই থাকুক নির্ধারিত ফির চেয়ে গুনতে হয় অতিরিক্ত অর্থ জমির মালিকদের। নাম খারিজ ও খাজনা দিতে আসা পশ্চিম মাদার টিলার সাবেক মেম্বার আবু সাইদ বলেন খারিজ করতে ৫ হাজার টাকা দিয়েছি, কলেজ পাড়ার রফিকুল ইসলাম বলেন আমি ১০ হাজার টাকা দিয়েছি খারিজ পার হলে আরো ৫হাজার টাকা দেয়ার কথা, জিগ্নী কান্দি গ্রামের ওসমান আলী ৭ হাজার টাকা, পশ্চিম খঞ্জনমারা গ্রামের ইসহাক আর্মি বলেন, খাজনা বাবদ ২ হাজার ২ শত টাকা নিয়েছে কিন্তু ২৭০ টাকার রশিদ দিয়েছে। খাঁন পাড়া গ্রামের আবুল হোসেন বলেন আমার কাছে ৬ হাজার ৫০০ শত টাকা নিয়েছিল ৭ মাস ঘুরাঘুরি করার পর খারিজ করতে না পারায় টাকা ফেরত নিয়েছি। দক্ষিণ খঞ্জনমারা গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, দাখিলা কাটার কথা বলে টাকা নিলেও দির্ঘদিন ঘুরাঘুরির পর দাখিলা না দিলে টাকা ফেরত নেয়া হয়। এমন হয়রানির স্বাীকারে আরো অনেক জমির মালিক বলেন, আমরা নাম খারিজ করতে টাকাও দিয়েছি তহশিলদারকে। খারিজের কাগজ দির্ঘদিন থেকে দেইদিচ্ছি বলে চরকিতে ফেলেছে। অন্যদিকে তহশিলদার শাহাদত হোসেন ও সার্ভেয়ার আব্দুল আউয়াল মিলে ইজলামারী ব্রীজ সংলগ্ন জিঞ্জিরাম নদের পাড়ে খাস জায়গায় দক্ষিণ ইজলামারী গ্রামের আলহাজ্ব এবারত হোসেনের পুত্র রফিকুলের কাছে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে দোকান পাট নির্মানের অনুমতিতে দোকান পাট নির্মান করতে থাকে।
এ বিষয়ে তহশিলদার শাহাদত হোসেন বলেন, জমির খারিজ নিতে আমার কাজ নয়। সম্পন্ন এসিল্যান্ডের কাজ। আমি কোন টাকা পয়সা নিয়ে কাজ করি না। এবং ইজলামারী ব্রীজ সংলগ্ন নদির কিনারে অবৈধভাবে দোকান পাট নির্মান করতে ছিল। আমরা নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
সার্ভেয়ার আব্দুল আউয়াল বলেন, আমি এরকম কোন কাজে জরিত না। তবে ইজলামারীতে অবৈধভাবে দোকান পাট তোলা সম্পর্কে আমাদের কোন ইন্দন ছিল না বরং আমরা দোকনপাট নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। এবিষয় নিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশের দরকার নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, তহশিলদার শাহাদতের অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার বিষয়ে আমি শুনেছি এবং ইজলামারী নদীর কেনারায় দোকান পাট নির্মানের বিষয়ে জানারপর কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে অনিয়ম বিষয়ে কোন ছার নাই।

 

newsbijoy.com

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

সকল সংবাদ পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন…

নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

© All rights reserved © 2015-2022 NEWSBIJOY24
Developed BY NewsBijoy24.Com
themesbanewsbijo41