তারেক রহমানকে এই দেশের সবচেয়ে তরুণ সম্ভাবনাময় জনপ্রিয় নেতা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ দেশের জনগণ তারেক রহমান ও বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের নেতৃত্বে এ দেশের গণতন্ত্র আবার ফিরে আসবে। এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। একই সঙ্গে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করতে হবে। এ জন্য দরকার দুর্বার আন্দোলন।

আজ শনিবার দুপুরে দিনাজপুর শহরের ইনস্টিটিউট মাঠ প্রাঙ্গণে দিনাজপুর জেলা বিএনপির কাউন্সিলে প্রধান বক্তার বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পরে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনি গতকাল (শুক্রবার) বলেছেন, যে সকল নেতা হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করে পাচার করেছেন তাদের আওয়ামী লীগে জায়গা হবে না। তাহলে আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা দুর্নীতি করে টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। আজ আপনাদের দুর্নীতির সীমা এতটাই বেড়ে গেছে, র‌্যাবের মতো একটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্থগিতাদেশ দিয়েছে।’

বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ‘আজকে দেশকে একটা কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করতে হচ্ছে। ৭১ সালে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তির দেশের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু আজ আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে আমরা হতাশ হয়ে পড়ছি। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পক্ষের কথা বললেও বাস্তবে তারা স্বাধীনতাবিরোধী কাজ করছে। ৭৫ সালে আমাদের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল, তেমনি বর্তমানে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বাংলাদেশকে স্বৈরাচার রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এখন টেলিভিশন, পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দেখলে শুধু হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানির খবর ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। সরকার খুন করেছে, হত্যা করেছে। তার প্রমাণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্টের মানবাধিকার রিপোর্ট তারা বলছেন, খালেদা জিয়ার যে বিচার তা রাজনৈতিক বিচার করা হয়েছে। তাকে যে কারাগারে দেওয়া হয়েছে তা রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ খালেদা জিয়া ও তার পরিবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বলে বিদেশে প্রচার হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার আজকে প্রশাসনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে দলীয়করণ করেছে এই সরকার। দিনাজপুর সংগ্রামের জনপদ, এই অঞ্চলের মানুষ সংগ্রাম করতে জানে। তাই এই জেলায় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পদচারণা ছিল। এমনকি তিনি নিজের জীবনসঙ্গিনী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন দিনাজপুরের কন্যা বেগম খালেদা জিয়াকে। কিন্তু তিনি আজ মিথ্যা মামলায় গৃহবন্দি হয়ে আছেন। গণতন্ত্রের মাকে মিথ্যা মামলা থেকে বের করে আনতে আন্দোলনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’

কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। যে নির্বাচন হবে তা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপির অংশগ্রহণেই হবে।